ঢাকার মোহাম্মদপুর কতটা বসবাস উপযোগী?
মোহাম্মদপুর, রাজধানী ঢাকার একটি প্রশাসনিক এলাকার নাম। শুরুতে আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুরের নামকরণ করা হয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামানুসারে। বর্তমানে মোহাম্মদপুরের বাণিজ্যিক গুরুত্বও বেড়েছে। মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকার নামকরণ করা হয়েছে মোগলদের নামানুসারে, যেমন- বাবর রোড, শাহজাহান রোড, তাজমহল রোড ইত্যাদি। দ্রুত নগরায়ন এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মোহাম্মদপুরের জনসংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদপুরের পূর্বে শেরে বাংলা নগর থানা ও সাভার উপজেলা, পশ্চিমে কেরানীগঞ্জ উপজেলা, উত্তরে আদাবর থানা, দক্ষিণে ধানমণ্ডি থানা ও হাজারীভাগ থানা।
মোহাম্মদপুরে অবস্থিত শিশু-কিশোরদের মাঠের অভাবে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয় না। মোহাম্মদপুরে রয়েছে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, পুকুর এবং গাছ-গাছালির কারণে রয়েছে সবুজের ছোঁয়াও। এ কারণেই আবাসিক এলাকা হিসেবে অনেকে মোহাম্মদপুরকে আদর্শ এলাকা হিসেবে মনে করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সুখ্যাতি আছে মোহাম্মদপুরের। মোহাম্মদপুর কলেজ, মোহাম্মদপুর করিমউদ্দিন গার্লস হাইস্কুল, সরকারি শারীরিক কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন সরকারি, প্রাইভেট স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত মোহাম্মদপুর। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড পুরো মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া এবং ধানমন্ডি এলাকার জনসাধারণের জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থার একটি কেন্দ্র। এখান থেকে পূর্বে গুলশান-বাড্ডা, উত্তরে মিরপুর, এবং দক্ষিণ পূর্বে মতিঝিল সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে।
মুখরোচক খাবার ও বৈচিত্রপূর্ণ অঙ্গসজ্জায় মোহাম্মদপুরের রেস্তোরাঁ ও কাবাব ঘরগুলো যেন অতুলনীয়। এখানে রয়েছে বিখ্যাত কেক-পেস্ট্রি ফাস্টফুড, ব্র্যান্ড ফাস্টফুড চেইন ফাস্টফুডের বিভিন্ন শাখা।
মনে করা হয়, একবার যারা মোহাম্মদপুরে বসবাস শুরু করেছেন, তারা মোহাম্মদপুরকে ছেড়ে থাকতে পারেন না। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক কারণে বসবাসের জন্য মোহাম্মদপুরকে সেরা মনে করা হয়। কথিত আছে, মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে বেশ আন্তরিকতা ও হৃদ্যতা।