ভাড়া বাসায় থাকার মানেই কি শখের মতো সাজানো যাবে না? বাড়িওয়ালার হাজার বিধিনিষেধ, রঙ নষ্ট না করা, পেরেক না ঠোকা, বছর বছর ভাড়া বাড়ার ঝামেলায় আমরা বাসাকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিতে ভুলেই যাই। কিন্তু বাসাটা তো আপনারই থাকার জায়গা! তাহলে কেন একটু রুচিশীলভাবে সেটাকে সাজিয়ে তোলা যাবে না?😊

ভাড়া বাসায় নিজের পছন্দমতো পরিবর্তন আনা একটু কঠিন, তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনি সহজেই আপনার ভাড়ার ঘরটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন। যেমন:


বাড়িওয়ালার সাথে সুসম্পর্ক:

👉বাড়ির মালিকের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন। কোনো পরিবর্তন আনার আগে তাদের অনুমতি নিন।

👉ছোটখাটো পরিবর্তন যেমন, দেয়ালে স্টিকার লাগানো বা শেলফ বসানোর মতো কাজগুলোর জন্য আগে থেকে কথা বলে নিন।


আলোর সঠিক ব্যবহার:

👉ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ব্যবহার করুন। ল্যাম্পশেড, ফেয়ারি লাইট বা ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।

👉প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের জন্য জানালা খোলা রাখুন এবং হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন।


পরিমিত আসবাবপত্র:

👉অল্প এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ব্যবহার করুন। স্থানান্তরের সময় হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাবপত্র সুবিধা দেবে।

👉মাল্টিফাংশনাল আসবাবপত্র ব্যবহার করে স্থান বাঁচাতে পারেন।


ফ্লোর ডেকোরেশন:

👉কার্পেটের পরিবর্তে রেক্সিন বা ছোট শতরঞ্চি ব্যবহার করুন, যা পরিষ্কার করা সহজ এবং স্থানান্তরের সময় সুবিধাজনক।

👉বিভিন্ন ডিজাইনের ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করে ঘরের চেহারা পরিবর্তন করতে পারেন।


দেয়ালের সাজসজ্জা:

👉দেয়ালে ওয়াল স্টিকার, ফ্রেম করা ছবি বা ছোট শেলফ ব্যবহার করে নিজের পছন্দমতো সাজান।

👉ওয়ালপেপার বা ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে দেয়ালের চেহারা পরিবর্তন করতে পারেন।


পর্দার ব্যবহার:

👉বিভিন্ন ডিজাইনের এবং রঙের পর্দা ব্যবহার করে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন।

👉পর্দা পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই ঘরের চেহারায় পরিবর্তন আনতে পারেন।


ছোটখাটো সাজসজ্জা:

👉কুশন, টেবিল রানার, রেক বা ছোট গাছ ব্যবহার করে ঘরের সাজসজ্জায় ভিন্নতা আনুন।

👉নিজের পছন্দের ছোটখাটো জিনিস দিয়ে ঘর সাজিয়ে ব্যক্তিত্বের ছোঁয়া দিন।


এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ভাড়া বাসাটিকে আরও সুন্দর এবং আরামদায়ক করে তুলতে পারেন।

Comments