আমরা অনেকেই বিড়াল, কুকুর বা পাখির মতো পোষা প্রাণীকে শুধু একটা প্রাণী হিসেবে দেখি না—তারা আমাদের পরিবারেরই একজন হয়ে ওঠে। জীবনের আনন্দ, ভালোবাসা আর নিঃশর্ত সঙ্গ দিতে পারে এরা। অনেক সময় তারা হয় একাকীত্বের সঙ্গী, মানসিক শান্তির উৎস এবং একজন মানুষের জীবনে সাহচর্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য—বাসা ভাড়া নিতে গেলেই শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ।
প্রথমেই প্রশ্ন করা হয়, “পোষা প্রাণী আছে?”
আর উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলেই অনেক সময় পরবর্তী বাক্যটা হয়, “তাহলে দুঃখিত, এই বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না।”
🔴 কারণ কী?
❌ ওরা শব্দ করবে
❌ ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াবে
❌ আসবাবপত্র নষ্ট করবে
এমন ধারণা থেকেই অনেক বাড়িওয়ালা পোষা প্রাণী থাকা ভাড়াটিয়াদের ‘না’ বলে দেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—সব পোষা প্রাণী কি একরকম? কিংবা সব ভাড়াটিয়া?
নিশ্চয়ই না।
অনেক ভাড়াটিয়া আছেন যারা অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্ববান।
তারা জানেন কীভাবে তাদের পোষা প্রাণীর যত্ন নিতে হয় এবং একইসঙ্গে বাসার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হয়। প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করেই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা যায়—এটা তারা কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করেন।
✅ তারা নিয়ম মেনে পোষা প্রাণীর যত্ন নেন
✅ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন
✅ পশুর টিকা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদিতে সচেতন
✅ এমনকি শব্দ দূষণ রোধেও সচেষ্ট থাকেন
এটা মনে রাখা জরুরি—পোষা প্রাণী থাকা মানেই সমস্যা নয়, বরং ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রকাশ।
সময় এসেছে মানসিকতা পরিবর্তনের ভালো বাসা থেকে শুধু ভালোবাসার কারণেই যেন কেউ বঞ্চিত না হয়। সব পোষা প্রাণী বা ভাড়াটিয়াকে এক ছাঁচে ফেলা উচিত নয়।
চলুন, আমরা গড়ে তুলি এমন একটি সমাজ যেখানে, পোষা প্রাণীর উপস্থিতি নয়, বরং ভাড়াটিয়ার আচরণ হবে বাসা ভাড়ার যোগ্যতার মাপকাঠি।
পোষা প্রাণী আমাদের জীবনে হাসি এনে দেয়, সঙ্গ দেয়, ভালোবাসা দেয়। তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও মানবিকতার হাত বাড়ানো সময়ের দাবি।